মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি

মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১-২২: ২০২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি নোটিশ প্রকাশিত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর www.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটে ও সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসেইটে। মেডিকেল ভর্তি ইচ্ছু প্রার্থীরা আমাদের এ পোস্ট থেকে মেডিকেল ভর্তির আবেদন যোগ্যতা , আবেদর প্রক্রিয়া ও অন্যান্য বিষয়সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জজানতে পারবেন।

মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১-২০২২

যারা বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এইচএসসি পাশ করেছ তাদের অধিকাংশই মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা স্বপ্ন দেখে।কিন্তু শুধু স্বপ্ন দেখলেই চলবে না থাকতে হবে ব্যাপক প্রস্তুতি মনে রাখতে হবে ভাল মানের প্রস্তুতি ছাড়া মেডিকেলে ভর্তি হওয়া বড়ই কঠিন।যাইহোক তোমরা জেনে অত্যন্ত খুশি হবে যে ইতমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।এ বছর যারা এ বছর মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছ তারা আমাদের সম্পুর্ণ পোস্টটি পড়ে নাও।

 এমবিবিএস ভর্তি টাইমলাইন
  • আবেদন শুরু: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • আবেদন শেষ: ১০ মার্চ ২০২২
  • ভর্তি পরিক্ষার ফি: ১০০০ টাকা
  • ভর্তি পরিক্ষার তারিখ: ০১ এপ্রিল ২০২২
  • প্রবেশপত্র ডাউনেলোডের শেষ তারিখ: ২৬-২৯ মার্চ ২০২২
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: dghs.gov.bd
  • আবেদন লিংক : dgme.teletalk.com.bd

মেডিকেল ভর্তি নোটিশ ২০২১-২২

ইতোমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে  তাদের জন্য বড়ই আনন্দের সংবাদ এই যে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রার্থীগন অনলাইনে মেডিকেল ভর্তি নীতিমালা ২০২২ অনুসারে আবেদন করতে পারবেন। মেডিকেলে পড়ার চাহিদা সাধারণত দেখা যায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে।কিন্তু খুব সহজেই তো আর মেডিকেলে ভর্তি হওয়া যায় না মুখোমুখি হতে হয় বিশাল এক ভর্তিযুদ্ধের।

MBBS Medical Admission Circular 2019-20

মেডিকেল ভর্তি  যোগ্যতা ২০২১-২২

  1. শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  2. এস এস সি বা সমমান পরিক্ষায় যারা ২০১৮ বা ২০১৯ সালে পাশ করেছে।
  3. এইচ এস সি বা সমমান পরিক্ষায় যারা ২০২০ বা ২০২১ সালে পাশ করেছে।
  4. এর পূর্বে কেউ পাশ করে থাকলে আবেদনের জন্য গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
  5. এস এস সি ও এইচ এস সি বা সমমান পরিক্ষায় মোট জিপিএ থাকতে হবে ৯.০০।

ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন 

মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০০। অর্থাৎ ১টি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।

বিষয় নম্বর
জীববিজ্ঞান ৩০
পদার্থবিজ্ঞান ২০
রসায়ন ২৫
ইংরেজি ১৫
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী ১০
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
মোট নম্বর ১০০

জিপিএ নম্বর বিভাজন

জিপিএ এর উপর মোট ২০০ নম্বর। নম্বর বিভাজন করা হয়ঃ

  1. এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ১৫ গুন=৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)
  2. এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২৫ গুন=১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)

ইতিপূর্বে সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫০ নম্বর কর্তন করা হবে।   লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে নূন্যতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। শুধু মাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে। লিখিত পরিক্ষা ও প্রাপ্ত জিপিএ এর থেকে প্রাপ্ত নম্বরের সমন্বয়ে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। উত্তরপত্রগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিক্ষা করা হবে।

এমবিবিএস ভর্তি তথ্য ২০২১-২২

এমবিবিএস মেডিকেল ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২১-২২ প্রকাশিত হয়েছে।

l

Medical-ADmission-Circular-2022-1

Medical-ADmission-Circular-2022-2

Medical-ADmission-Circular-2022-3

Medical-ADmission-Circular-2022-4

Medical-ADmission-Circular-2022-5

আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলি

১। ওয়েবসাইটঃ Website: http: //dogs.TeleteLock.com

২। ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে নিম্নে বর্ণিত জিনিসগুলি সাথে রাখতে হবে। এগুলো না থাকলে ফরম পূরণ করা সম্ভব হবে না। অনলাইনে আবেদন ফরম পুরণ করার পর, টেলিটক প্র্রি-পেইড মোবাইল থেকে ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফিস অবশ্যই জমা দিতে হবে। ফিস জমা দেয়ার পর আবেদন পত্র চুড়ান্ত ভাবে গৃহীত হবে।

৩। ৩০০×৩০০ পিক্সেল মাপের নিজের একটি রঙ্গীন ছবি (১ কপি)। ফাইলের সাইজ  ১০০ কেবি এর বেশী হবেনা ।একই সাইজের নিজের একটি স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। এই ফাইলের সাইজ ৬০ কেবি এর বেশি হতে পারবে না। (স্ক্যান করা অথবা ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা

৬। উপরোক্ত তথ্যগুলি এবং সাথে এই নিয়মাবলীর একটি কপি প্রস্তুত থাকলে-

৭।আরেকটি ওয়েবসাইট (http://dghs.teletalk.com.bd) এ  ক্লিক করতে হবে। প্রথমে ভর্তির নিয়মাবলীর একটি সংযোগ দেখা যাবে। সেটা ক্লিক করে ভালভাবে পড়ে নিতে হবে। পড়া শেষ হলে আগের পৃষ্ঠায ফেরত আসতে হবে। অথবা আমাদের সিটের সাহায্য নিতে পারেন।

৮। এসএসসি/এইচএসসি। আলিম পাশ এবং ও লেভেল/ আ লেভেল পাশকৃতদের জন্য আলাদা আলাদা দুটি অপশন রয়েছে। ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের জন্য সমমান সার্টিফিকেট ও কোড সংগ্রহ করতে হবে। এটা ছাড়া তারা ফরম ই পূরন করতে পারবে না।

৯। এখানে এসএসসি/এইচএসসি। আলিম পাশকৃতদের রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড, পাশের বছর পূরণ করতে হবে। প্রার্থীর উপজাতীয় কোটায় সুযোগ থাকলে তাকে নির্দিষ্ট বাটন ক্লিক করে কোটা পূরণ করতে হবে। এটা না করলে পরবর্তীতে এই সুযোগ সে আর পাবে না এবং উপজাতির কোটায় নির্ধারিত জিপিএ ৯.০০ কা‌র্যকরী হবেনা। কোটায় ভর্তির সুযোগ পেলে ভর্তির সময় প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে না পারলে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। পরে এই অপশন বদল করার কোন সুযোগ নেই।

১০। এখানে কোন কিছু ভুল হলে চেক করে আবার পূরণ করতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ না হলে পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি হবে। সুতরাং ভালোভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে সাবমিট করতে হবে।

১১। এ পৃষ্ঠার উপরের অংশে প্রার্থীর নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্মতারিখ এবং পৃষ্ঠার মাঝামাঝি পরীক্ষায় প্রাপ্ত লেটারগ্রেডসমূহ এবং গ্রেডপয়েন্ট স্বয়ংক্রীয়ভাবে চলে আসবে। (ও লেভেল/ এ লেভেল প্রার্থীরা তাদের অপশনে গিয়ে নিজেরা পূরণ করবে।

১২। পরীক্ষার সময় ইংরেজি প্রশ্নের প্রয়োজন হলে এখানেই ভাষার ক্ষেত্রে ইংরেজি অপশন পূরণ করতে হবে।

১৩। নিজের জেলা পূরণ করতে হবে। পূরণকৃত জেলার কোটায় ভর্তির আসন বরাদ্দ পেলে, ভর্তির সময় সেই জেলার সার্টিফিকেট দেখাতে না পারলে, বরাদ্দকৃত আসন বাতিল হয়ে যাবে। অন্যান্য কোটার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে।

১৪। একটি মোবাইল নম্বর প্রদান করা বাধ্যতামূলক যা ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন সার্বক্ষণিক অবশ্যই চালু রাখতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর এই মোবাইল নম্বর দেওয়া উচিৎ এবং প্রদত্ত সকল এসএমএস সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতের জন্য।

১৫। এরপর কলেজকে হাইলাইট করে পছন্দক্রম সাজাতে হবে। এখানে কোনভাবেই ভুল করা যাবেনা।

১৬। ভেরিফিকেশন কোড যেভাবে দেওয়া আছে, সেভাবে টাইপ করতে হবে।

১৭। পৃষ্ঠার শেষে  সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে তখনই।

১৮। এই পৃষ্ঠায় একটি ইউজার আইডি দেয়া হবে। এটি সংরক্ষন করে রাখতে হবে পরবর্তীতে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য।

ভর্তি ফি জমা দেওয়ার পদ্ধতি

১। টেলিটকের Prepaid মোবাইল ফোনের Message অপশনে গিয়ে MBBS লিখে, স্পেস দিয়ে User ID লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে।

উদহারণ: MBBS <Space> User ID Type করে Send করুন 16222 নম্বরে।

ফিরতি SMS –এ একটি PIN, প্রার্থীর নাম এবং পরীক্ষার ফিস হিসেবে ১০০০/-(এক হাজার) টাকা কেটে রাখার তথ্য দিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দেয়ার জন্য নিম্নোক্তভাবে 16222 নম্বরে SMS পাঠাতে হবে।

২।  Message অপশনে গিয়ে MBBS লিখে, স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে PIN লিখে স্পেস দিয়ে পছন্দের সর্বোচ্চ চারটি Centre Code  লিখে 16222 নম্বরে SMS প্রেরণ করতে হবে।

উদহারণ: MBBS <Space> YES <Space> PIN <Space> 11, 12, 21, 22, নম্বর গুলো পরীক্ষা কেন্দ্রের কোড নম্বর।PIN নম্বরটি সঠিক ভাবে লেখা হলে উক্ত টেলিটকের Prepaid মোবাইল থেকে পরীক্ষার ফিস বাবদ ১০০০/-এক হাজার) টাকা কেটে রাখা হবে এবং প্রার্থীকে ফিরতি SMS-এ পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম জানিয়ে একটি User ID ও Password দেওয়া হবে।

প্রবেশপত্র ডাউনলোডঃ

প্রার্থী তার User ID ও Password দিয়ে প্রবেশ পত্র Download করে প্রিন্ট করে নিবে। সেটা পরিক্ষার হলে নিয়ে আসতে হবে।

প্রবেশপত্র ওয়েব সাইটে দেওয়ার বিষয়টি ‍SMS –এ জানানো হবে। প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলেও পুনরায় একই প্রক্রিয়ায় প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল প্রার্থীর মোবাইলে SMS এবং DGHS –এর ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd এর মাধ্যমে জানানো হবে।

মেধাতালিকা ও প্রার্থী নির্বাচন

১। প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থীর জাতীয় মেধাতালিকা (বিশেষ কোটা যদি থাকে উল্লেখ্য সহ) প্রকাশ করা হবে।

২। সরকারি মেডিকেল কলেজ-এ ভর্তির জন্যে জাতীয় মেধায় ৮০% ও জেলা কোটায় ২০% প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। একই সাথে যুক্তিযুক্ত সংখ্যক প্রার্থীদের মেধা ভিত্তিক অপেক্ষমান তালিকাও প্রকাশ করা হবে।

৩। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত ২% আসন মোট আসনের মধ্যে সীমিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সন্তানরা আবেদন করতে পারবে।

৪। জাতীয়ভাবে গৃহীত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় যে সকল প্রার্থী বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে চান মেধা অনুযায়ী তাদের মধ্য থেকে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যা পর্যন্ত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এ ভর্তি পরীক্ষায় উপযুক্ত ঘোষণা করা হবে।

৫। মাইগ্রেশন বা কলেজ বদলী (সরকারি মেডিকেল কলেজ এর জন্য প্রযোজ্য।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১। ইংরেজিতে নিজের জেলা, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা (জেলা, থানা/উপজেলা, পোস্ট কোড ইত্যাদি সহ) লিখিতভাবে নিজের কাছে রাখতে হবে।

২। ভর্তিচ্ছু মেডিকেল কলেজগুলির নাম নিজের পছন্দের ক্রমানুসারে সাজিয়ে লিখে রাখা প্রয়োজন। এটা করার আগে অভিভাবক / স্বজনদের সাহায্য নেয়া উচিৎ। কারণ পছন্দক্রম একবার দেওয়ার পর আর বদলানো যাবেনা। কলেজ কোডগুলো 11 থেকে 40 জানা থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচনে প্রয়োজন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.